সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন-ভারত

লাদাখে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চিন উভয় দেশ শক্তি বৃদ্ধি করছে। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি তেমনই ইঙ্গিত করছে। এদিকে ১৫ জুন লাদাখে সংঘর্ষের পর এই প্রথম এ নিয়ে মুখ খুলল বেইজিং। চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে পুরো দায় চাপানো হয়েছে ভারতের ওপর। এমনকি চিনা সেনারা কোনো সীমান্ত অতিক্রম করেনি বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।
১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় অন্তত ৭৬ জন। তবে ভারতীয় সেনাদের দাবি অনুযায়ী চিনের ৪৩ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও চিন এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি।
এদিকে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও গতকাল শনিবার টুইটারে বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দুর্বলভাবে চিহ্নিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) চিনা অংশে অবস্থিত গালওয়ান উপত্যকা। তিনি বলেন, এলএসির চিনা অংশে ভারতীয় অবকাঠামো নির্মিত হলে মে মাসে দুই দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনায় ঐকমত্য হয়। সেই অনুযায়ী সম্প্রতি ভারত ওই অবকাঠামো এবং নিজ বাহিনী সরিয়ে নিলে উত্তেজনা কমে আসতে শুরু করে। আর সেই মুহূর্তে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। লিজিয়ান ঝাও বলেন, ‘গালওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি যখন ইতোমধ্যে নিরসন হতে শুরু করেছে তখন ভেবেচিন্তে উসকানি দেয়ার জন্য গত ১৫ জুন ভারতীয় বাহিনী আরও একবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে।’ তিনি বলেন, ‘এমনকি আলোচনার জন্য সেখানে যাওয়া চিনা কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের ওপর সহিংস হামলা চালায় ভারতের সম্মুখভাগে থাকা সেনারা, এভাবেই তীব্র শারীরিক সংঘাত শুরু হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।’ রয়টার্স/আলজাজিরা।